Admiring Silence
আবদুলরাজাক-কে আমি চিনতাম না, চিনবার কথাও না। বস্তুত, প্রত্যেকবার নোবেল পুরষ্কারের পর আমি নতুন একজন সাহিত্যিকের সাথে পরিচিত হই।
রাজাকের নোবেলপ্রাপ্তির কারণটা এই:
…for his uncompromising and compassionate penetration of the effects of colonialism and the fates of the refugee in the gulf between cultures and continents.
রাজাকের উপন্যাসের কথা বলতে গিয়ে ব্যক্তি রাজাক-কে নিয়ে এত টানাটানির কারণ হচ্ছে এই উপন্যাসটি (এবং তার আরো বেশকিছু কাজ) প্রচণ্ড ব্যক্তিগত। ব্যক্তিগত ট্রমা, ব্যক্তিগত হতাশা।
প্রথমেই যে বিষয়টা খোলাসা করা উচিত তা হচ্ছে রাজাক-কে এন্টি-কলোনিজমের ধ্বজাধারী ভাবা অনুচিত হবে। রাজাক নিজের ছাড়া আর কারো ধ্বজা ধরেননি। কলোনিয়ালিজম এখানে ব্যাকগ্রাউন্ড, খুব ইনটিমেট এবং প্রাসঙ্গিক ব্যাকগ্রাউন্ড, গল্পটা পার্সনাল।
রাজাক জাঞ্জিবারের মানুষ। জাঞ্জিবার ছিল ব্রিটিশ কলোনি। কলোনি উঠে যাওয়ার পর বিদেশি শাসকের জায়গায় দেশি শাসকের শোষণ দেখতে হয়েছে। অর্থাৎ, পুরো দায়টা ঠিক কলোনিয়াল মাস্টারদের না। ফলতঃ রাজাক, কী কলোনিয়াল মাস্টার, কী দেশি লুটেরা, কারুর প্রতিই তার ডিসটেস্ট প্রকাশে পিছপা হননি।
এখন আসি লেখার বিষয়ে। রাজাকের লেখার স্টাইলে প্রথমে যে শব্দটা মাথায় আসে তা হচ্ছে 'পেনেট্রেটিং'। যদি কলোনিয়ালিজমের কথা বলি, রাজাক রঅ, প্রপাগান্ডা, বা পার্টি লাইন মার্কা ইন্টারপ্রেটেশানে না গিয়ে কলোনিয়ালিজম কীভাবে ইনডিভিজুয়ালের জীবনকে প্রভাবিত করে (কলোনাইজার ও কলোনাইজড উভয়েরই) সেই দিকে নজর দিয়েছেন।
তারপরেই চোখে পড়ে ছোট ছোট উইটি বাক্যের বদলে স্লো-বিল্ডআপের সারকাজম। প্রথম স্টাইলটা হরহামেশাই দেখা যায়।
তার এনভায়রনমেন্টের যে ক্রস-কালচারাল মেশ্ সেটা বেশ সুস্বাদু বলা যায়। ওহাবি, ইংলিশ, এবং পৃথিবীর ম্যাপের প্রায় অর্ধেকজুড়ে ছোটখাটো রেফারেন্স মিলে বলা যায় কসমোপলিটান উপন্যাস।
প্লট ভালো লেগেছে তাই ক্যোট করা থেকল বিরত থাকলাম। নিজে পড়াই বরং ভালো।
A man returns to his native Zanzibar after years of exile in England, and must come to terms with the changes both in him and in his childhood home.