বৃষ্টি
ভিজলো অন্ধকার।
ভিজে গেলো পথ আর
ঘাসের শরীরে দ্যুতি ছড়ায় বরষা।
বুনোফুল, চারুলতা স্নান সেরে এলো।
এলোচুলে ঘ্রাণ তার সর্বনাশের।
সর্বনাশ ভিজলো,
সোঁদা মাটি বৃক্ষবীর্যে গরবিনী।
জানি তুমি বলবেই,
শহরনামায় নেই এই কবিতার স্থান কোনো।
চোখ মেলো, দেখো রোজ কংক্রিট ফুঁড়ে
অশ্বত্থ-বালক রাখে একথার সাক্ষ্যপ্রমাণ।
আমি জানি গাঢ় কালো ভেজা ভেজা পীচের শরীরে
অধর ছুঁইয়ে ধুলো প্রেমরসে ভিজে হলে কাদা
ছেনালপনায় তার কেটে যায় দিন,
বোকামানুষের জিন্সপ্যান্ট
কলুষিত হয় রোজ তার ছেনালিতে।
এসব শুনতে চাও?
অথবা বলতে পারি
একদিন বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে জ্বর হলো যার
কপালে রাখলে হাত
আড়ষ্ঠ বিমূঢ় হলো যার দেহখানি
সেই চায় সবচেয়ে বেশি ছুঁতে,
ভিজে যেতে স্পর্শে আমার।
আমার উঠোন আর তার কারাগার
মাঝখানে অনেক যোজন।
মাঝখানে
ভিজলো তেপান্তর।
ভিজলো গ্রামের পথ।
বুকচিরে এভিনিউ হলো হাইওয়ে
হাইওয়ে, ট্রেনপথ, স্লিপার, পাথর
পাথর ও পথজুড়ে কথার পাহাড়,
পাহাড়টা ভেঙে ভেঙে চুপ করে ফের সমতল।
তার ঘর ব্যালকনি।
ব্যালকনি ভিজে,
ভিজিয়েছে
কাঁদিয়েছে
ফের ভিজিয়েছে তার দেহ।
শহর কি ততটাই যতটুকু চোখে দেখা যায়?
ছুঁলে হাত
সেও বয়ে নিয়ে যায় আমার শহর।
মাঝরাতে যদি
চিবুকে গড়ায় তার জল,
মুছতে না মুছতেই চেয়ে দেখি
মহাপ্লাবনের বেগে ভেসে গেছে
শহর ও শরীরের গলিঘুঁজি পথ।
আমি নুহ নই, তাই ডুবি
বেছে নিই নির্বাণ সর্বনাশের।
৯:৫১ pm, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
খুলনা