অমর সিং চমকিলা: একটি আয়নার গল্প
সম্প্রতি ইমতিয়াজ আলির 'অমর সিং চমকিলা' দেখলাম। সাধারণত, মুভি রিভিউ আমি লিখি না, লেখার বুৎপত্তিও আমার নেই। এই মতামত বা নিরীক্ষাগুলো ব্যক্তিগত ধারণা হিসেবে নেওয়াই ভালো।
যে বিষয়টি নিয়ে বলার জন্য লিখতে বসলাম তার আগে ২টি গৌণ বিষয়ে কথা বলে নিই।
প্রথমত, কলাকুশলী ও অভিনেতাদের নিষ্ঠা আমায় মুগ্ধ করেছে। একটি সাক্ষাৎকারে 'বিদা কারো' গানটির যে ক্রিয়েটিভ প্রসেসের আভাস মিললো তাতে বোঝা যায় যে সাধারণ বাণিজ্যিক কাজের মত এটি নয়।
দ্বিতীয়ত, ইমতিয়াজ আলির ইতিহাসনিষ্ঠতা প্রশংসনীয়। গল্পের প্রয়োজনে ইতিহাস বেঁকিয়ে-চুরিয়ে মিথ্যার সমকক্ষ করে তোলা সিনেমায় নতুন কিছু নয়। জন ন্যাশের বায়োপিক 'A beautiful mind' এ তার প্রথম প্রেমিকার কথা বেমালুম চেপে যাওয়া নিয়ে বেশ হাঙ্গামা হয়েছিলো।[1] ইমতিয়াজ আলি খুব সুক্ষ্মভাবে সেই সমস্ত জায়গাতেই তার সৃষ্টিশীলতার নিদর্শন রেখেছেন যেখানে কোনোভাবেই ইতিহাস বিকৃতির দায় দেওয়া যায় না।
শিল্প যদি শিল্পীর সবচেয়ে ব্যক্তিগত সত্যভাষণ হয় তবে অমর সিং একজন শিল্পী। যেটি অমর সিং-এর ছিল না সেটি হলো artistic sophistication. তাই অমর সিং-এর গানগুলো যতটা ভালো সমাজের চালচিত্র, ততটা ভালো শিল্প নয়। বলা যেতে পারে, fine art-এর বিপরীতে এগুলো 'coarse art'. এই দিকটা মুভিতে বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে দুটি ঘটনায়। চমকিলা তার সাক্ষাৎকারে তো বলেছেনই তার গান সম্পর্কে নিজের ধারণা, তা বাদে কানাডায় তার শো ম্যানেজার যখন জানায় যে অমিতাভ বচ্চনের চেয়ে তার জন্য বেশি অতিরিক্ত সীট যুক্ত করতে হয়েছে তাতে চমকিলা ব্যথিত হন। তার শিল্পের সম্পর্কে যথেষ্ট নির্মোহ ধারণা তিনি রাখতেন।
কিন্তু তার শিল্পমান যেমনই হোক, তাকে মেরে ফেলার জন্য তা কি যথেষ্ট? পাঞ্জাবের আপামর জনতা তাকে শুনতেন। পামরে শুনত সন্ধ্যায় মদ খেয়ে, সুধীজন লুকিয়ে লুকিয়ে। সবাই যাকে শুনতো তাকেই কেন মেরে ফেলা? অমর সিং আসলে যতটা শিল্পী তারচেয়েও ভালো আয়না। তাতে পাঞ্জাবের সমাজের নোংরা দিকটা বেশ ভালোভাবে প্রতিফলিত হয়। যে নোংরাকে আমরা নোংরা বলেই জানি, কিন্তু কোনো বিকারের বশে রোজ গায়ে মেখে বসে থাকি, সেই নোংরাসমেত নিজেকে আয়নায় দেখতে কার-ই বা ভালো লাগে? পাঞ্জাবেরও ভালো লাগেনি। যখন লাগেনি তখন নোংরা পরিষ্কারের চেয়ে আয়নাটা ভেঙে ফেলাই বরং সহজ ও যুক্তিযুক্ত মনে হল। সামষ্টিক ইগো-তে আঘাত করলে তাকে হত্যা করা কিন্তু নতুন কিছু নয়। সক্রেটিস ও যীশুখৃষ্ট তার দুটি জনপ্রিয় উদাহরণ। সক্রেটিস, বা খৃষ্ট তাঁদের দর্শন বা ধর্মপ্রচারের জন্য মরেননি। মরেছিলেন ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য, চমকিলাও তাই।
In 1951, the Massachusetts Institute of Technology (MIT) hired Nash as a C. L. E. Moore instructor in the mathematics faculty. About a year later, Nash began a relationship with Eleanor Stier, a nurse he met while admitted as a patient. They had a son, John David Stier, but Nash left Stier when she told him of her pregnancy. (Full Article) ↩︎